
ভ্যাট রিটার্ন হলো একটি মাসিক হিসাব বিবরণী, যেখানে ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট এক মাসের মধ্যে কত পণ্য/সেবা বিক্রি করেছেন, কত ভ্যাট আদায় করেছেন এবং কত ভ্যাট সরকারকে দিতে হবে — তার বিস্তারিত তথ্য দেন।
সরলভাবে বললে, এটি হলো:
✅ কর কত আদায় হলো এবং ✅ কত জমা দেওয়া হলো — তার অফিসিয়াল হিসাবপত্র।
আইনগত বাধ্যবাধকতা — ভ্যাট আইন ২০১২ অনুযায়ী ব্যবসায়ীকে মাসিক রিটার্ন দিতে হয়
স্বচ্ছতা বজায় রাখা — ব্যবসা ও কর ব্যবস্থাপনার মধ্যে সচ্ছতা তৈরি হয়
ভ্যাট ফেরত পাওয়া — অতিরিক্ত ভ্যাট দিলে তা ফেরত চাইতে হলে রিটার্ন দাখিল আবশ্যক
যাদের মাসিক বিক্রয় নির্দিষ্ট সীমার বেশি
যারা VAT নিবন্ধিত ব্যবসা পরিচালনা করেন
যাদের কাছে EFD ডিভাইস বা POS ব্যবহৃত হয়
উৎপাদক, আমদানিকারক, ও বড় বিক্রেতারা
প্রতি মাসের শেষ তারিখের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে
উদাহরণ: জুলাই মাসের রিটার্ন দিতে হবে আগস্টের ১৫ তারিখের মধ্যে
বিক্রয় বিবরণী
ক্রয় বিবরণী
ট্যাক্স অ্যাডজাস্টমেন্ট
ইনপুট ট্যাক্স দাবি
জমা দেওয়া ভ্যাটের তথ্য
✅ অনলাইনে (VAT Online Portal)
✅ নিজে / একাউন্টেন্ট / পরামর্শদাতার মাধ্যমে
জরিমানা (প্রতিদিন ৫০০০ টাকা পর্যন্ত)
সুদ (বকেয়া টাকার ওপর বার্ষিক ২% পর্যন্ত)
আইনি ব্যবস্থা ও BIN বাতিলের সম্ভাবনা
ভ্যাট রিটার্ন হলো একজন করদাতার নিয়মিত দায়িত্ব। এটি সময়মতো, সঠিকভাবে জমা দেওয়া না হলে আইনগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করুন এবং ব্যবসার স্বচ্ছতা বজায় রাখুন।
আপনার মতামত লিখুন :