
উত্তর: ভ্যাট (Value Added Tax) হলো একটি পরোক্ষ কর যা পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের প্রতিটি ধাপে সংযোজিত মূল্যের ওপর আরোপ করা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত ১৫% হারে ভ্যাট প্রযোজ্য।
উত্তর: বাংলাদেশে সাধারণ ভ্যাট হার ১৫%। তবে কিছু খাতে বিশেষ হার (যেমন ৫%, ৭.৫%, ১০%) প্রযোজ্য হতে পারে।
উত্তর:
বছরে ৩ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার রয়েছে এমন ব্যবসা
আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান
যাদের ব্যবসা NBR-এর নির্ধারিত ভ্যাট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত
উত্তর:
NBR-এর অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধন পোর্টালে প্রবেশ করুন
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (ট্রেড লাইসেন্স, TIN, মালিকের ছবি) আপলোড করুন
যাচাই শেষে অনলাইনে VAT Registration Certificate পাবেন
উত্তর: ভ্যাট চালান হলো NBR অনুমোদিত ইনভয়েস যেখানে পণ্য/সেবার মূল্য, ভ্যাট হার ও মোট ভ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ থাকে।
উত্তর: ভ্যাট প্রতি মাসের শেষ তারিখের মধ্যে NBR-এর অনলাইন পোর্টাল বা নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হয়।
উত্তর: ব্যবসায় কেনাকাটায় দেওয়া ভ্যাটকে ইনপুট ট্যাক্স বলা হয়। নির্দিষ্ট শর্তে এই ইনপুট ট্যাক্স বিক্রয়ের সময় প্রযোজ্য ভ্যাট থেকে বাদ দেওয়া যায়।
উত্তর: ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (EFD) বা সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (SDC) হলো এমন ডিভাইস যা বিক্রয় লেনদেন রেকর্ড করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে NBR-এ তথ্য পাঠায়।
উত্তর: ভ্যাট ফাঁকি বা দেরিতে জমা দিলে জরিমানা, অতিরিক্ত কর এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
উত্তর: হ্যাঁ, নিবন্ধিত সব ভ্যাটদাতাকে মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে হয়, এমনকি মাসে কোনো বিক্রি না হলেও।
উত্তর: সরকার কর্তৃক অব্যাহতি দেওয়া পণ্য বা সেবা যেমন—প্রাথমিক কৃষিপণ্য, শিক্ষা সেবা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি ভ্যাটমুক্ত।
উত্তর:
ভ্যাটসহ মূল্য = পণ্যের দাম + (পণ্যের দাম × ভ্যাট হার)
যেমন: ১০০০ টাকা মূল্যের পণ্যে ১৫% ভ্যাট হলে
ভ্যাট = ১০০০ × ১৫% = ১৫০ টাকা
মোট = ১০০০ + ১৫০ = ১১৫০ টাকা।
উত্তর: নির্দিষ্ট শর্তে, যেমন অতিরিক্ত ভ্যাট পরিশোধ হলে বা রপ্তানিকারক হলে, NBR-এর কাছে আবেদন করে ভ্যাট রিফান্ড পাওয়া যায়।
উত্তর: NBR-এর অনলাইন VAT Portal (www.vat.gov.bd) থেকে নিবন্ধন, রিটার্ন দাখিল, ভ্যাট জমা, রিফান্ড আবেদনসহ সব সেবা নেওয়া যায়।
উত্তর: NBR নির্দিষ্ট সময় পর আপনার ব্যবসার বিক্রয় রেকর্ড, চালান, ভ্যাট জমা রসিদ ইত্যাদি যাচাই করে। কোনো অসঙ্গতি পেলে নোটিশ দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :