রিটার্ন দাখিলের নিয়ম (How to File a VAT Return)

ভ্যাট রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত মাসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়, ক্রয়, ইনপুট ভ্যাট, আউটপুট ভ্যাট এবং প্রযোজ্য কর নির্ধারণ ও পরিশোধের হিসাবের বিবরণ। বাংলাদেশের প্রতিটি নিবন্ধিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক।

✅ কেন রিটার্ন দাখিল করবেন?

রিটার্ন দাখিল করার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার হিসাব সরকারকে জানিয়ে দেন। এটি ভ্যাট আইন মেনে চলার অংশ এবং এর ফলে আপনি ভবিষ্যতে কর সংক্রান্ত কোনো জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

🛠️ অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ধাপসমূহ:

🔹 ধাপ ১: ভ্যাট অনলাইন অ্যাকাউন্ট খুলুন

প্রথমে vat.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট খোলার সময় TIN ও BIN (Business Identification Number) প্রয়োজন হবে।

🔹 ধাপ ২: লগইন করে ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করুন

ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ড্যাশবোর্ডে যান।

🔹 ধাপ ৩: ‘রিটার্ন দাখিল’ অপশন নির্বাচন করুন

ড্যাশবোর্ডে “Mushak 9.1” বা “রিটার্ন ফাইল” অপশনে ক্লিক করুন।

🔹 ধাপ ৪: মাসিক বিক্রয় ও ক্রয় তথ্য যুক্ত করুন

আপনার মাসিক বিক্রয় ও ক্রয়ের ইনভয়েস এবং ট্যাক্স ডকুমেন্ট অনুযায়ী ফর্ম পূরণ করুন।

🔹 ধাপ ৫: ইনপুট ও আউটপুট ভ্যাট হিসাব করুন

কেনাকাটায় পরিশোধিত ইনপুট ভ্যাট ও বিক্রয়ের উপর আদায়কৃত আউটপুট ভ্যাট হিসাব করে নির্ধারিত ঘরে বসান।

🔹 ধাপ ৬: প্রয়োজনীয় সংযুক্তি যোগ করুন

প্রয়োজন হলে ডকুমেন্ট, ইনভয়েস স্ক্যান কপি ইত্যাদি সংযুক্ত করুন।

🔹 ধাপ ৭: সাবমিট ও প্রিন্ট করুন

সব তথ্য যাচাই করে রিটার্ন সাবমিট করুন এবং একটি প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করে রাখুন।

📅 রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা:

প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
উদাহরণ: জুলাই মাসের রিটার্ন → ১৫ আগস্টের মধ্যে দাখিল করতে হবে।

⚠️ জরিমানা ও দায়

সঠিক সময়ে রিটার্ন না দিলে প্রতিমাসে জরিমানা হতে পারে। এছাড়া ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদানে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

✅ উপকারিতা:

• সহজে কর হিসাব ও পরিশোধ

• ব্যবসার স্বচ্ছতা বজায় রাখা

• সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি

• আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা