ভ্যাট (VAT) বা মূসক হলো মূল্য সংযোজন কর, যা পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে ধার্য হয়। অনেক করদাতা ও সাধারণ মানুষ জানেন না, কে আসলে ভ্যাট প্রদান করেন—ব্যবসায়ী, উৎপাদক, না কি গ্রাহক? এই আর্টিকেলে সহজভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ভ্যাট প্রদানকারী মূলত গ্রাহক বা ভোক্তা, তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ব্যবসায়ী বা বিক্রেতা। অর্থাৎ:
গ্রাহক পণ্য বা সেবা ক্রয়ের সময় ভ্যাটসহ মূল্য পরিশোধ করেন
ব্যবসায়ী সেই ভ্যাট সরকারের রাজস্ব বিভাগে জমা দেন
ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নিতে হয় (BIN/ভ্যাট নম্বর)
বিক্রয় রশিদে ভ্যাট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়
জমা দিতে হয় নির্ধারিত সময়ে (মাসিক বা ত্রৈমাসিক)
ইভিএফডি (EFD) বা ই-পয়েন্ট অব সেল যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়
কারণ, পণ্যের মূল দামে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট যুক্ত করা হয়। আপনি যখন কিছু কিনছেন, আপনি পণ্যের দাম + ভ্যাট দিচ্ছেন।
উদাহরণ:
একটি মোবাইল ফোনের দাম = ১০,০০০ টাকা
ভ্যাট (১৫%) = ১,৫০০ টাকা
মোট পরিশোধযোগ্য = ১১,৫০০ টাকা
এখানে ১,৫০০ টাকা ব্যবসায়ী সরকারকে জমা দেবেন।
পণ্য উৎপাদনকারী
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা
সেবাপ্রদানকারী (যেমন: রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ইন্টারনেট সার্ভিস)
আমদানিকারক
আইন অনুযায়ী শাস্তি হতে পারে
ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল হতে পারে
অতিরিক্ত জরিমানা ও সুদ ধার্য হতে পারে
ভ্যাট আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব উৎস। তাই সকল সচেতন নাগরিক ও ব্যবসায়ীর উচিত নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট প্রদান করা এবং অন্যকেও উৎসাহিত করা।